খবর সারাদিন রিপোর্ট : ইউক্রেনে ১০ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন। ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আগে এমনই তথ্য দিচ্ছে রাশিয়ার প্রাইভেট সেনা ওয়াগনার। ওয়াগনার সেনার প্রধান প্রিগোজিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে আসার আগে রাশিয়ার একাধিক জেল ঘুরে ঘুরে তিনি সেনা নিয়োগ করেছিলেন। বন্দিদের অনেকেই যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।
ওয়াগনার প্রধানের দাবি, তার সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার বন্দি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, ১০ হাজার সেনা, যারা এক সময় রাশিয়ার জেলে বন্দি ছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়।
প্রিগোজিন আরও দাবি করেছেন, বেসামরিক বহু ব্যক্তিও স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। ওয়াগনারে তেমন মানুষের সংখ্যাও ছিল প্রায় ৫০ হাজার। তাদের মধ্যে থেকেও প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে প্রিগোজিন এই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ মে) যা কার্যত ভাইরাল হয়ে গেছে। ওয়াগনার প্রধান যে সংখ্যার বলছেন, মস্কোর দেওয়া সংখ্যার সঙ্গে তার আকাশ-পাতাল তফাত। মস্কো জানিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের ছয় হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই তথ্য পেশ করা হয়েছিল বেশ কয়েকমাস আগে।
মার্কিন গোয়েন্দারা অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ রাশিয়ার সেনার মৃত্যু হয়েছে। তবে ওয়াগনার প্রধান যে সংখ্যা বলছেন, তা বিপুল। এর আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন পুতিন ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। মস্কো যে তথ্য কোনোদিনই মানতে চায়নি। বস্তুত, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ইউক্রেন মামলাও করেছে। এক সময় পুতিন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওয়াগনার প্রধান মাসখানেক হলো বেসুরে বাজছেন।
রাশিয়ার প্রশাসন ফ্রন্ট লাইনে লড়তে থাকা তার সেনাকে কোনোরকম সাহায্য করছে না বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন তিনি। বাখমুতে কেবল তারাই আছেন, রাশিয়ার সরকারি সেনা পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ২৬ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাবে ওয়াগনার সেনা। তার আগে বাখমুত অঞ্চলের যেটুকু তাদের হাতে আছে, তা রাশিয়ার সেনার হাতে হস্তান্তর করা হবে।