খবর সারাদিন রিপোর্ট : ছুরিকাঘাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ (৩০) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহত ইকরামের বাবা ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে ঘাতক রায়হানকে। রায়হান (২২) ঢাকার বংশালের সিদ্দিক বাজার এলাকার জিয়াউল করিম জিয়ার ছেলে।
এরআগে, মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে রায়হান। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের ঢাকা উত্তর মহানগরের সাবেক সহ সভাপতি রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে নিহত ইকরামের ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ প্রহরায় মরদেহ গ্রহন করে স্বজনরা। দুপুরে শহরের টেংকের পাড়স্থ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নিহতের মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরাকান্দা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, এই ঘটনায় ইকরামের বাবা গ্রেপ্তারকৃত রায়হানকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর পরই রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাতে ইকরামকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় রায়হানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইকরাম আহমেদ শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় আসা যাওয়া ছিল। সেখানে রিমোর মামাতো ভাই রায়হান থাকতেন। রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিমোর দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে। সে মাদকাসক্ত ছিল। রিমোর এক মামার মোটরসাইকেল রায়হান ও ইকরাম মাঝে মাঝে চালাতেন। বুধবার সন্ধ্যায় ইকরাম সেখানে গেলে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে রায়হানের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরে রায়হান ছুরিকাঘাত করে ইকরামকে। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।