খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নারী বিদ্বেষী যুবকের দায়ের কুপে আরজুদা (৭৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের ভাদুঘর টিএন্ডটি পাড়া এলাকায় রেল লাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো ৩ নারী ও ২ পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ভাদুঘর এলাকার মির্জা জাহান মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া (৫৫), হানিফ মিয়ার স্ত্রী খালেদা বেগম (৪৪), মরহুম আবুল হোসেনের ছেলে সাজু মিয়া (৫০), আব্দুল হেকিমের ছেলে মোখলেছ (৪৫) ও তাহের মিয়ার মেয়ে নয়ন মনি (১৪)। এর মধ্যে চারজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক শিহাবকে আটক করেছে। সে ভাদুঘর এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিহাব নারী বিদ্বেষী। সে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় মানুষদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত ও টাকা চাইত। টাকা না দিলে সে তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করত। বুধবার সে ৪ জন মহিলাকে একত্রে হেটে যেতে দেখে তাদের উপর চড়াও হয়। পরে সে তার হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাথারি কুপাতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে রক্ষা করতে এলে তারাও হামলায় আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহত আরজুদা বেগম, রাবেয়া, খালেদা বেগম, সাজু মিয়া ও মোখলেছ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। ঢাকায় নেয়ার পথে আরজুদা বেগম মারা যায়। এদিকে ঘটনার পরপর এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে হাজার মানুষের ঢল নামে। পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনার অনুসন্ধানে সকাল থেকেই সরজমিনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, শিহাব নারী বিদ্বেষী ও উগ্রপন্থি। ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘাতক শিহাব সুস্থ হওয়ার পর ঘটনার আরো তথ্য জানা যাবে।