,
শিরোনাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পথচারী নিহত মাদক বিরোধী অভিযান আশুগঞ্জে যুবদল সদস্য সচিবসহ গ্রেপ্তার-২ \ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলিকপ্টার ও পালকিতে চড়ে বরের বাড়ি আসলেন নববধূ আখাউড়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আখাউড়ায় কৃষকদল নেতার সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফল ব্যবসায়ী সাইদুর হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদন্ড শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবির দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার অপারেশন ডেভিল হান্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী হত্যার ঘটনার স্বামীর ফাঁসির আদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া্ জজ আদালতের ফাইল ছবি
খবর সারাদিন রির্পোট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির চন্ডিদ্বার খিরনাল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক রাসেল পলাতক রয়েছে।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। বিয়ের সময় অটোরিকশাসহ প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকে রাসেল মিয়া বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল স্বামী রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা বাবার বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতরত আহত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমাকে ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাকে হত্যা করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামী পক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী কেউ ছিল না।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.