,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের পায়ের রগ কেটে হত্যা, আহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের

খবর সারাদিন রির্পোট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জনি মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে পায়ের রগকেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মোঃ মকসেন মিয়ার ছেলে। এসময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) আরও একজন গুরুতর আহত হন।
নিহতের চাচাত ভাই মোঃ বিদ্যুৎ ও পরিবারের অভিযোগ, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার নির্দেশে তার দুই ছেলে সাচ্চু মিয়া ও আমির হোসেনসহ তাদের দলবল অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং সাথে থাকা আওয়ালকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
তালশহর পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, জনি আমার একজন কর্মী ছিলেন। ২০২২ সালে ৫ জানুয়ারি নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এরপর থেকেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা তার ছেলেরা সোলাইমান মিয়া ও তার কর্মীদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাতে আবু সামা ও তার ছেলেরা এই হত্যাকান্ড চালায়। এদিকে দুপুরে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামা (০১৭১১৩৫৭৫৪৪) ও তার ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন (০১৭১৩৬১৩৫৯৫) এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তাদের ফোনের বন্ধ পাওয়া যায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.