,
শিরোনাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আখাউড়ায় ওসি গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে নাসিরনগরে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা পৌর কর্মচারী কিরণ মোল্লার উপর হামলাকারীদেরকে গ্রেপ্তার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেশীয় অস্ত্রসহ সরাইলে ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সম্মেলনে অধ্যাপক সেলিম ভ‚ইয়া ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে সরাইলে মাহফিলের নামে গান-বাজনা বন্ধ করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ডাকাতি প্রস্তুতিকালে আশুগঞ্জে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার-৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নদী রক্ষায় তিতাস নদীতে বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌ র ্যালী ছবি ৩

খবর সারাদিন রিপোর্টঃ ক্রমাগত দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের সাথে মিশে থাকা নদ-নদীগুলো। যার প্রভাবে ধুকছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সে অবস্থা থেকে নদী রক্ষার পাশাপাশি জনমনে নদীর প্রতি আন্তরিকতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণ্যাঢ্য নৌ র‌্যালী। শনিবার বিকেলে নৌ দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন “তরী’র” উদ্যোগে এই র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। “নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শহরের তিতাস নদীর আনন্দ বাজার নৌ-ঘাট থেকে ১০টি নৌকা নিয়ে র‌্যালীটি নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ সময় নদী রক্ষার বিভিন্ন শ্লোগানে পতাকা আর ব্যানার প্রদর্শন করে সাধারণ জনগনকে সচেতন করা হয়। র‌্যালীতে কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহন করে। র‌্যালীটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করার পর ভাদুঘর নৌ ঘাট গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নদী ভিত্তিক কবিতা নিয়ে নদী বন্দনা।

অংশগ্রহনকারীরা জানান, নদী মাতৃক বাংলাদেশে নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে এখানকার সভ্যতা, বেড়ে উঠেছে অর্থনীতি। এই নদীকে ঘিরেই সাহিত্য আর সংস্কৃতির বয়ে চলা। অথচ আধুনিকতার এ সময় নানাভাবে নদ-নদী ও জলাশয়গুলোর উপর নির্বিচারে অত্যাচার চলছে। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নদী রক্ষার প্রতি সকলকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় নদী মাতৃক এই বাংলাদেশ একদিন মরুভূমিতে পরিণত হবে।
এদিকে নদী রক্ষায় জনগনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও আরো আন্তরিক হওয়ার দাবী জানিয়ে, নদী ও জলাধার রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনর তরী বাংলাদেশ এর আহব্বায়ক বলেন, নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নদী তীরবর্তী জনসাধারণসহ সকলকে নদীর প্রতি আন্তরিক করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। কারণ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদীগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ করে যে নদীকে ধারণ করে বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধতা তা টিকিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষায় সারাদেশেরই নানামূখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এতে আমরা আশাবাদী, আমরা মনে করি সরকারের আন্তরিকতায় দেশের নদীগুলো আবারো আগের চিরচেনা রুপে ফিরবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নদীকে বাঁচাতে প্রশাসন সব সময়ই তৎপর রয়েছে। নৌ র‌্যালীর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করা হয়েছে। বিশেষ করে তিতাস নদীর সাথে জেলাবাসীর এক অন্যরকম হৃদ্যতা রয়েছে। আমরা আশা করি এই নদীটিকে রক্ষায় জেলাবাসীও সচেতন হবে।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.