,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

Police Clearence Certificate (PCC)- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদনের সঠিক নিয়ম

police crlearance

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদনের জন্য আপনার যেসমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো হলোঃ

Online%20Police%20Clearence

১। Passport: আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৩ মাস থাকতে হবে।

আপনার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী কিংবা জরুরী ঠিকানার যে কোন একটি ব্যবহার করতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই ঐ ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম আর পি) এর ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে আবেদনের সাথে অনলাইনে দাখিল করতে হবে ।

বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী কোন ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপি তার পক্ষে করা আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে ।

২। National ID: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি রঙ্গিন ফটোকপি করে তা ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে আবেদনের সাথে অনলাইনে দাখিল করতে হবে ।

৩। Birth Certificate: ১৮ বছর বয়সের কম অথবা যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে লক্ষ রাখতে হবে যে, জন্ম নিবন্ধনের স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানা পাসপোর্টের স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানার সাথে মিল থাকে।

৪। Ward Councilor Certificate: ওয়ার্ড কাউন্সির সার্টিফিকেট আপনার স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র। যদি আইড কার্ড না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধনের সাথে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সার্টিফিকেট দিতে হবে। তবে বাধ্যবাধকতা নেই।

৫। Others: বিদেশগামী কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক যারা বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশ থেকে পাসপোর্ট ইস্যু/ রি-ইস্যু করিয়েছেন তাদেরকে বাংলাদেশে আসার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে চাইলে সর্বশেষ এরাইভেল (Arrival) সিল সম্বলিত পৃষ্ঠাটির স্ক্যান কপি আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে।

প্রবাসী আবেদনকারীগণ যার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করতে চান তার নাম এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর উল্লেখ করে তাকে সত্যায়ন পূর্বক একটি অনুমতি পত্র (Authorization Letter) আবেদনের সাথে (Others) আপলোড করতে হবে। স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেও সনদ গ্রহণের সময় সংগ্রহকারীকে অনুরূপ অনুমতি পত্রসহ প্রেরণ করতে হবে।

উপরের সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে গোছানোর পর সত্যায়িতসহ তা স্ক্যান করতে হবে। স্ক্যান করে কপিগুলো ফটোশপের মাধ্যমে কিংবা ওয়েবসাইটে সাইজ কমিয়ে নিতে হবে। উল্লিখিত সকল কাগপ-পত্র সর্বোচ্চ 200kb তে আপলোড করতে হবে। যদি pdf হয় তাহলে পিডিএফ কম্প্রেস ওয়েবসাইট https://www.ilovepdf.com/compress_pdf থেকে কম্প্রেস করে নিতে পারবেন। আর যদি jpg, jpeg, png হয় তাহলে https://compressjpeg.com/ ওয়েবসাইট থেকে কম্প্রেস করে নিতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদনের জন্য আপনাকে প্রথমে https://pcc.police.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

1

 

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার কাছে অনেগুলো অপশন থাকবে। যার মধ্যে একটি Sing in এবং অন্যটি Registration. যদি পূর্ব থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তাহলে Sing in বাটনে ক্লিক করতে হবে নতুবা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনি Registration অপশনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেইজ শো করবে। সেখানে আপনার নাম, ইমেইল (অপশনার), সচল মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করে স্ক্রিনে থাকা নাম্বার (যোগ বিয়োগ) করে Continue বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 2

 

 Continue বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে ভেরিফিকেশনের জন্য ২টি অপশন দিবে।

3
১। আপনার রেজিস্ট্রেশনের সময় দেওয়া ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক যাবে। সেখান থেকে ‘Verify your Account’ অপশনে ক্লিক করে ভেরিফাই করতে হবে। Online Police Clearance System থেকে পাঠানো ইমেইলটি ভেরিফাই হওয়ার শেষে Congratulation দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। অথবা আপনি যে নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন সে নাম্বার থেকে PCC AV 7**0 লিখে 26969 নাম্বারে এসএমএস করবেন। ফিরতি এসএমএসে আপনার ভেরিফিকেশন হওয়ার কনফার্ম মেসেজ আসবে।
4

 

5

 

রেজিস্ট্রেশন এবং লগইন পর্ব শেষ হওয়ার পর আপনি একটি ইন্টারফেইজ দেখতে পাবেন। যেখান থেকে নতুন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে।

6

 

Apply বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন একটি পেইজে নিয়ে যাবে। সেই পেইজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার কারণ (Purpose of Police Clearance) জানতে চাইবে। এখানে ২টি অপশন আছে যার মধ্যে একটি Go abroad এবং অন্যটি Others. বিদেশে ভ্রমনের জন্য গেলে প্রথমটি অর্থাৎ Go abroad বাটনটি সিলেক্ট করতে হবে।
7
Go abroad সিলেক্ট করে কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক সেই দেশটির নাম সিলেক্ট করতে হবে। এখানে দেশের নাম ড্রাপ-ডাউন মেনু আকারে আসবে।
8
দেশের নাম সিলেক্ট করার পর একটি নতুন পেইজ আসবে যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এখানে আপনি যা লিখবেন তাই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে প্রিন্ট হবে। কোন অবস্থাতেই পাসপোর্টের বাহিরে কিছু লিখতে যাবেন না। পাসপোর্টে যা আছে এবং যেভাবে তা হুবুহু এখানে লিখতে হবে অন্যথায় আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও বিদেশে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
9

Police Clearence Certificate পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম পাতাটি মনযোগ দিয়ে সঠিকভাবে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করতে হবে।

PASSPORT NO: বর্তমানে যে পাসপোর্টটি দিয়ে আবেদন করতে চাচ্ছেন তার নাম্বর (আবশ্যিক)।
Issuing Country: যে দেশ থেকে পার্সপোর্ট  করা হয়েছে। সাধারণত এটি বাংলাদেশ হবে। তবে দ্বৈত নাগরিক কিংবা যারা প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে প্রবাসেই পাসপোর্ট করিয়েছেন তারা তাদের দেশ উল্লেখ করবেন (আবশ্যিক)।
Issue Date: পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ ‍উল্লেখ করতে হবে (আবশ্যিক)।
Issue Place: সাধারণত জন্মস্থান যদি নিজ জেলার নাম দেওয়ার থাকে তাহলে ইস্যু প্লেইজ হবে সেই জেলার নাম। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মূলত পাসপোর্টটি যেই স্থানীয় পাসপোর্ট অফিস  থেকে হাতে পেয়েছেন সেই জেলার নাম ‍উল্লেখ করবেন।
Expiry Date: পাসপোর্ট এর মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ দিতে হবে।
Mobile No: আপনার সাথে যোগাযোগের একটি নাম্বার দিতে হবে।
Email: ই-মেইল আইডি দিতে হবে। এটি আবশ্যিক নয়।
NID: জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরটি দিতে হবে শুধমাত্র। যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না থাকে তাহলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
Salutation: এখানে আপনি ছেলে না মেয়ে তা উল্লেখ করতে হবে। ছেলে হলে Mr. এবং মেয়ে হলে Mrs.
Full Name: এখানে পাসপোর্টে উল্লিখত আপনার পুরু নামটি উল্লেখ করতে হবে। এই নামেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু হবে। খুবই সর্তকতার সহিত নামটি লিখবেন।
Father’s / Husband: যদি পাসপোর্টের ইমারজেন্সি কন্টাক্ট লিস্টে আপনার পিতার নাম দেওয়া থাকে তাহলে পিতার নামই লিখবেন, আর যদি স্বামী/স্ত্রীর নাম দেওয়া থাকে তাহলে স্বামী/স্ত্রীর নাম দিতে হবে। অনেকে মনে করেন যে, যেহেতু স্বামী বিদেশে নিবেন তাই স্বামীর নাম দিবেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। ইমারজেন্সি কন্টক্টে যার নাম দেওয়া আছে তার নামই এখানে ‍উল্লেখ করবেন। তবে যাদের পিতা নাই কিংবা স্বামীর বাড়িতে স্থায়ী এবং বিদেশে স্থায়ী নাগরিকের জন্য আবেদন করছেন তাদেরকে স্বামীর নাম উল্লেখ করে দিতে পারবেন।
Relation: উপরে যদি পিতার নাম দিয়ে থাকেন তহালে রিলেশন পিতা, আর যদি স্বামী/স্ত্রীর নাম দিয়ে থাকেন তাহলে হাসবেন্ড উল্লেখ করবেন।
Mother’s Name: এখানে আপনার মায়ের নাম দিতে হবে।
Date of Birth: জন্ম তারিখ দিতে হবে। পাসপোর্টে যা আছে তাই দিতে হবে।
Photo (Maximum 150KB): আপনার একটি ছবি যুক্ত করে দিতে হবে। ছবিটি যেনো ১৫০ কেবির বেশি না হয়।
সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর Save & Next বাটন ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য থানা নির্বাচন করতে হবে।
২য় পেইজের ‍উপরে একটি অংশ থাকবে যেকানে Ref No, Passport No, Name, Mobile No থাকবে। এর পরের ধাপে তিনটি আলাদা আলাদা ঠিকানার কলাম থাকবে।
10
  1. Emergency Contact Address (As Per Passport)
  2. Permanent Contact Address (As Per Passport)
  3. Present Address
Emergency Contact Address: জরুরী যোগাযোগের ঠিকানাটি আপনার পাসপোর্টের Emergency Contact এর যে ঠিকানা দেওয়া আছে হুবুহু সেই ঠিকানাই দিতে হবে। অন্যকোন ধরনের ঠিকানা এখানে উল্লেখ করা যাবে না। এখানে যে কয়টি বিষয়টি থাকে তার হুবুহু Permanent Contact Address এ থাকে।
District /Metro: আপনার জেলার নাম এখানে সিলেক্ট করতে হবে।
Thana: থানা সিলেক্ট করতে হবে।
Post Office: পোষ্ট অফিস লিখতে হবে।
Post Code: পোষ্ট কোড লিখতে হবে। (আবশ্যিক নয়)
Village/ Area/ Sector: গ্রাম/এড়িয়া অথবা সেক্টরের নাম লিখতে হবে।
Road: যদি পাসপোর্টে রোড উল্লেখ না থেকে ওয়ার্ড ‍উল্লেখ থাকে তাহলে এখানে WARD NO-00 লিখতে হবে।
House: যদি পাসপোর্টে বাড়ি নং দেওয়া থাকে তাহলে লিখতে হবে অন্যথায় প্রয়োজন নেই।
Permanent Contact Address: আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা যা দেওয়া আছে তার হুবুহু ঠিকানা এখানে উল্লেখ করতে হবে। নিজ থেকে কিছু ‍উল্লেখ করা যাবে না। Emergency Contact Address এ যা দেওয়া থাকে Permanent Contact Address তাই থাকে।
Present Address: আপনি বর্তমানে যেই জায়গায় থাকেন তার নির্দিষ্ট ঠিকানা লিখতে হবে। মূলত বর্তমান ঠিকানায় উল্লিখিত থানা আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশনের থানা হিসেবে নির্বচিত হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশনের সংশ্লিষ্ট অফিসার আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানায় তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করে। তাই এটি খুবই সতর্কতার সাথে পূরণ করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পাদন করার পর Save & Continue বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩য় ধাবে আপনার পূর্ব থেকে স্ক্যান করা কপিগুলো যুক্ত করতে হবে। কপিগুলো যুক্ত করার পূর্বে এগুলোর নাম রিনেইম করে নিবেন। তাহলে চিনতে সুবিধা হবে। যেমন পাসপোর্ট/এনআইডি/বিআর এভাবে বাংলা বা ইংরেজিতে রিনেইম করে নিবেন। সবগুলো ডকুমেন্ট ২০০ কেবির কম হতে হবে। যে যে ডকুমেন্টস আপনাকে দিতে হবে তাহল-
Passport* (অবশ্যই দিতে হবে। বাকিগুলো অপশনাল)
National ID
Birth Certificate
Ward Councilor Certificate
Others
12
সকল ডকুমেন্ট এড করা শেষ হলে আপনি পূণরায় Save & Continue বাটনে ক্লি করতে হবে।
তার পরের পেইজে আপনি যা যা পূরণ করেছেন তার বিস্তারিত তথ্য আসবে।
13
যদি বিস্তারিত তথ্যের মধ্যে কোন প্রকার ভূল না থাকে তাহলে একেবারে নিচের দিকে Final Submit লেখার সাথে ঠিক চিহ্ন দিয়ে Confirm বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি কোন কিছু সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে Edit অপশন থেকে শংশোধন করতে পারবেন।
Confirm বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে পেমেন্ট এর অপশনে নিয়ে যাবে। সেখানে ২টি অপশন থাকবে।
14
১ম অপশনে ক্লিক করলে আপনি সরাসরি অনলাইনে বিকাশ, নগদ, ব্যাংক, কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে চালানের টাকা পরিশোধ করতে পারবে। ১নং অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি পেমেন্ট অপশনে নিয়ে যাবে।
16
 এখানে পেমেন্ট করার জন্য আপনি ৩টি অপশন পাবেন। 1.কার্ড, ২. সোনালী ব্যাংক এবং 3. মোবাইল ব্যাংকিং। এই তিন মাধ্যম থেকে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর চালান ফি পরিশোধ করতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি পরিশোধ করার পর আপনার একটি চালান কপি আসবে। উক্ত চালান কপিটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন এবং প্রিন্ট কপি থানায় জমা দিবে।
অথবা অপশনটি হচ্ছে সরাসরি সোনালি ব্যাংকের লোকাল ব্রাঞ্চে গিয়ে আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর চালানের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
চালান পরিশোধের পদ্ধতি শেষ হলে চালানোর কপিটি আপনি সর্বনিম্ন 300 কেবিতে সেইভ করে সংরক্ষণ করে রাখবে।
এবার ২য় অপশনে ক্লিক করলে আপনার চালান ভেরিফিকেশন পেইজ আসবে এবং সেখানে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চালান কপিটি আপলোড দিতে হবে। নতুবা আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদন অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ রয়ে যাবে।
18
চালান কপি আপলোড দিতে হলে আপনি যদি অনলাইনে পেমেন্ট করে থাকেন তাহলে
ব্যাংক নাম: সোনালী ব্যাংক
ডিস্ট্রিক্ট: ঢাকা
ব্রাঞ্চ: লোকাল অফিস ব্রাঞ্চ
চালান ডেইট: যে তারিখে চালান পরিশোধ করেছেন।
চালান নং- চালানের কপিতে উল্লেখ থাকে সেটি দিতে হবে (2324-0123456789…)
সবকিছু ঠিক থাকলে Check Chalan অপশনে ক্লিক করলে আপনার না দেখা যাবে। অতপর: আপনি Chalan Upload অপশনে গিয়ে চালান কপিটি সিলেক্ট করে Upload বাটনে ক্লিক করে আপলোড করে দিবেন। আপলোড করা শেষ হলে আপাকে একটি কনফার্মেশ মেসেজ দেখাবে।
19
কনফার্ম মেসেজে রেফার নং, পাসপোর্ট নং, আপনার নাম এবং মোবাইল নম্বর দেখাবে। এখন Finish বাটনে ক্লি করলে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। এবার আবেদনের প্রিন্ট কপি, চালান কপি, পাসপোর্ট কপি ও আনুষাঙ্গিক যেসমস্ত কাগজ আপলোড করেছেন তার হার্ডকপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়ে আসবেন।
৭ থেকে ১৫ কর্মদিবস বা তারও বেশি সময় নিতে পারে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কপি হাতে পেতে।
খুব শীঘ্রই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে ডিজিটাল স্বাক্ষর যুক্ত হচ্ছে।
ডিজিটাল স্বাক্ষরের ফলে সেবা গ্রহীতা নিম্নোক্ত সুবিধাদি পাবেন:
১। আবেদনকারী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ম্যানুয়াল স্বাক্ষরের পরিবর্তে ডিজিটাল স্বাক্ষরিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন।
২। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে QR কোডের মাধ্যমে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের In-system Authentication ও Verification সম্ভব হবে। ফলে, জাল সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
৩। ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু করার পরে ডিজিটাল স্বাক্ষরকৃত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ডিজিটাল কপি সরাসরি সেবাগ্রহীতার ইউজার একাউন্টে চলে যাবে। আবেদনকারীকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য কোথাও যেতে হবে না। তিনি নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে PDF ডাউনলোড/ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

আপনার যেকোন প্রয়োজনে কিংবা আপনি কোথায় সমস্যার সম্মুখিন হলে আমাকে WhatsApp-এ মেসেজ কিংবা কল করতে পারেন।

pngtree whatsapp icon png image 6315990

ধন্যবাদ!

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.