,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় কী?আমাদের করণীয় কী?

IMG 20240529 WA0001 jpg

খবর সারাদিন রিপোর্ট :

লেখকঃআকিল এস. সাদ

‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।হবেই না কেন?এর কারণে মানুষ যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা নেহায়েতই কম নয়!এমনকি সর্বশেষ তথ্যমতে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এই ঘূর্ণিঝড় আসলে কী?এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে আমাদের করণীয় কী?এগুলো নিয়েই আমাদের এই আলোচনা!
ঘূর্ণিঝড় হলো উষ্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি,বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া।এটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে।
ঘূর্ণিঝড়ের কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলোঃ
১)ঘূর্ণায়মান বাতাসঃঘূর্ণিঝড়ের বাতাস কেন্দ্রের দিকে প্রবল বেগে ঘুরতে থাকে।উত্তর গোলার্ধে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
২)নিম্নচাপঃঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
৩)প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতঃঘূর্ণিঝড়ের সাথে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
৪)ঝড়ো হাওয়াঃঘূর্ণিঝড়ে প্রচন্ড বেগে হাওয়া বয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রায়শই এদেশের মানুষকে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে জয়।এর ফলে জান-মাল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাত্রই হওয়া রেমালের আঘাতে ১৩ জন্য মৃত্যুবরণ করেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।তাছাড়া ঘরবাড়ি এবং ফসলী জমিজমা সহ অন্যান্য সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তাই আমাদের অবশ্যই আত্মরক্ষার উপায় জানতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় থেকে আত্মরক্ষাঃ
১)সরকারি নির্দেশাবলী মেনে চলাঃ ঘূর্ণিঝড়ের সময় সরকারি নির্দেশাবলী মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
২)নিম্নচাপপ্রবণ এলাকা থেকে সরে যাওয়াঃঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে নিম্নচাপপ্রবণ এলাকা থেকে সরে যাওয়া উচিত।
৩)শক্তিশালী আশ্রয়স্থলে আশ্রয় নেওয়াঃঘূর্ণিঝড়ের সময় শক্তিশালী আশ্রয়স্থলে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
৪)জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করাঃঘূর্ণিঝড়ের সময় জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করে রাখা উচিত।

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়প্রবণ দেশ। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।প্রকৃতির উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নাই।কিন্তু একটু সচেতন হলে আমরা নিজেদের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবো।
লেখার শেষপর্যায়ে এসে একটা তথ্য যুক্ত করতে চাই।আমাদের অনেকেই ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস একই মনে করেন।এরা প্রকৃতপক্ষে একই জিনিস নয়;যদিও এদের মধ্যে সম্পর্ক আছে।

বস্তুত,জলোচ্ছ্বাস হলো ঘূর্ণিঝড়ের একটি প্রভাব,যা মূলত ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের পানি অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ হয়ে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে।এতে ব্যাপক বন্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।জলোচ্ছ্বাস সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় নিম্নচাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে সাগরের পানি স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলাফল।
সুতরাং,ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস পরস্পর সম্পর্কিত হলেও তারা এক নয়;জলোচ্ছ্বাস মূলত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.