,
শিরোনাম:
বৈষম্যবিরোধী ৩ ছাত্র প্রতিনিধিকে মাইক্রোচালকদের মারধর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা রিক্সা ও রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম! শনিবার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৫ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিজয়নগরে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন নবীনগরে ১১ চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার ১৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী আটক বিজয়নগরে সাংবাদিক পরিচয়ে টাকা দাবি, যুবক গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহানগর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত ৯ ঘন্টাপর গন্তব্যের দিকে রওয়ানা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড

WhatsApp Image 2024 07 18 at 7.17.28 PM jpeg

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ভাগ্নে মেহেদী হাসান কামরুল-(১০) ও ভাগ্নি শিফা আক্তার-(১৪) হত্যা মামলায় বাদল মিয়া-(৩০) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবদুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন। রায়ে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাদল মিয়া কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খোদে-দাউদপুর গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে।

খুন হওয়া মেহেদী হাসান কামরুল ও শিফা আক্তার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের কামাল উদ্দিনের সন্তান।
আদালতের নথিসূত্রে জানা গেছে, বাহরাইন প্রবাসী বাদল মিয়া ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরে আসেন। গ্রামে গোষ্ঠীগত দাঙ্গার একটি মামলায় আসামি হওয়ার কারণে বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে তার বোন হাসিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। বাদল মিয়া প্রবাসে থাকাকালে দোকান করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা ফেরত দেন বাদল। বাকি ১০ লাখ টাকার জন্য কামালের সাথে মনোমালিন্য চলছিল তার। টাকার জন্য একপর্যায়ে বাদলকে থাপ্পড় মারেন কামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল।

এরই জেরে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে কামালের ছেলে কামরুল তার মামা বাদলের রুমে যায়। বাদল তখন রুমে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিশোধপরায়ন হয়ে কামরুলের হাত-পা বেঁধে গলা কেটে তাকে হত্যা করে বাদল। পরে মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। ভাগ্নি শিফা রুম ঝাড়– দিতে গিয়ে দেখে ফেললে তাকেও মারার জন্য ধস্তাধস্তি করে বাদল। একপর্যায়ে শিফাকে ধাক্কা মেরে বাথরুমে নিয়ে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ অন্য একটি রুমের খাটের নিচে রাখেন। এরই মাঝে ঘাতক বাদল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বাদল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাদলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান, পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আমরা সাক্ষীদের যথা সময়ে আদালতে হাজির করেছি। যুক্তিতর্ক ও সাক্ষি প্রমাণ শেষে আদালত অভিযুক্ত আসামিকে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় প্রদানকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.