খবর সারাদিন রিপোর্টঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা জারির ফলে সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত স্থল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করতে পারেনি আয়োজকরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম ভূইয়া। যদিও সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর।
তবে ১৪৪ ধারা জারির ফলে সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত স্থল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করতে পারেনি আয়োজকরা।
মূলত, সম্মেলনের বিরোধীতা করে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেকের সমর্থকরা এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা ডাকে।
এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সম্মেলনস্থল ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
যদিও দুপুরে উপজেলা সদরের অদূরে কৃষ্ণনগর এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সম্মেলন বিরোধীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন ডাকে উপজেলা বিএনপির একাংশ। তবে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের লোকজনদের ভোটার করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তোলে সেটির বিরোধিতা করে বিএনপির অপর একটি অংশ।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।
সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশকে সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব এ. কে. এম. মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।