খবর সারাদিন রিপোর্টঃ কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর দিলারা আক্তার খান, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পাঠান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কয়েকদিন আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করে। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বক্তারা এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তারা বলেন, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই গত ২৪ তারিখ “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশে ১ ঘন্টার কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নিহতের ঘটনায়ও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। বক্তারা বলেন, বিগত সময়ের দূর্নীতির নথি গায়েবের জন্য এটা কোন ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের অফিসারগন ও দপ্তর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন