খবর সারাদিন রিপোর্ট:সৃজনশীল চর্চা করতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়, ও-ই বাধা অতিক্রম করে সৃজনশীল চর্চা করতে হবে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া বলেছেন, সৃজনশীল চর্চা করতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় আর এ বাধা কে অতিক্রম করে সৃজনশীল চর্চা করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী পল্লী কবি জসীমউদ্দিন ও শিল্পাচার্য্য জয়নুল আবেদীনের জন্মদিন উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পল্লী কবি জসীমউদ্দিন ও চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীন কবিতা ও তুলির আচঁড়ে সারা বিশ্বের কাছে দেশকে তুলে ধরেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে নিতে হবে এবং সারা বিশ্বের কাছে দেশকে তুলে ধরতে হবে এবং সৃজনশীল চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সৃজনশীল চর্চা কি অনেকেই জানেন না, সৃজনশীল চর্চা করতে হবে তাহলে শিশুরা মেধা বিকাশে এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিকে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। সৃজনশীল চর্চা করতে গেলে শিশুকে বিতর্ক, সংগীত, উপস্থিত বক্তৃতা, ছবিআকাঁসহ বিভিন্ন কারিকুলামে সাথে পরিচয় ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, পল্লী কবি জসীমউদ্দিন বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি ও শিল্পী জয়নুল আবেদিনের জন্ম না হলে আমাদের দেশে শিল্প চর্চার প্রসার হতো না। ছবিআকাঁ হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা যা ছাত্র ছাত্রীরা তাদের কর্মজীবনে কাজে লাগাতে পারে। পল্লী কবি জসীমউদ্দিন ও চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীন এদেশের মাটি ও মানুষের কবি ও শিল্পী। তারা প্রকৃতি, গ্রাম বাংলা, মানুষ কে ভালবাসতেন বলেই কবিতায় ও রংতুলির আঁচড়ে সংগ্রামী মূখ, দুভিহ্মের এবং গ্রাম বাংলা কে প্রাধান্য দিতেন। গতকাল ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম দিন কবি জসীমউদ্দিন ও চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর ভূইয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠা ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন, গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল লতিফ, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি এড আবদুন নূর। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি ও বিশিষ্ট লেখক মহিবুর রহিম। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মোদক ও উমর আহমেদ পরিচালনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া অন্যঅতিথিদের নিয়ে বছরের প্রথম দিন প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র ছাত্রী কে পুরস্কার বিতরণ করেন। কবি জসীমউদ্দিন ও শিল্পচার্য্য জয়নুল আবেদীন পুরস্কার, বিশেষ আর্ট প্রশিক্ষণ পুরস্কার ও কলকাতায় আন্তর্জাতিক ছবিআকাঁ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক কবি মোঃ মারুফুল ইসলামের লেখা শিশুদের জন্য পাঠানো বই শিশুদের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে আবরণী আবৃত্তি সংগঠনের সদস্যরা আবৃত্তি পরিবেশন করে।
শেয়ার করুন