,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ভয়ঙ্কর হয়ে আসছে করোনা

images 21

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। গতকাল সোমবার সংক্রমণের ১০০ দিন পার করল বাংলাদেশ। দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় গত ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয়। আর শততম দিনে এসে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৬১৯, মৃত্যু ১ হাজার ২০৯ জনের।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণের শততম দিনে চীন, যুক্তরাজ্য, ভারত ও পাকিস্তানে যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, বাংলাদেশে তার চেয়েও বেশিসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় করোনা ঠেকাতে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্যমতে, দেশে মে মাসে করোনায় আক্রান্ত মোট শনাক্ত হয় ৩৯ হাজার ৫৩৭ জন। আর জুনের দুই সপ্তাহেই শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৩৬৭। মে মাসে মারা যায় ৪৮২ জন আর জুনের প্রথম দুই সপ্তাহে মারা গেছে ৫২১ জন। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মে মাসের শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জুনের প্রথম দুই সপ্তাহেই অতিক্রম করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত করোনা ঠেকাতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তিনি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, এখন কারফিউ ছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ভবিষ্যতে খারাপ দিন আসবে। চিকিৎসা নেওয়ার জায়গা থাকবে না।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণের প্রথম ১০০ দিনে চীনে করোনায় আক্রান্ত হন ৮১ হাজার ৭৪০ জন। এদের মধ্যে মারা যান ৩ হাজার ৩৩১ জন এবং সুস্থ হন ৭৭ হাজার ১৬৭ জন। আমেরিকায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়। এরপর ১০০ দিনে করোনায় মারা যান ১ লাখ ২ হাজার ১০৭ জন। যুক্তরাজ্যে ১০০ দিনে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬ হাজার ২০০ জন। পাশের দেশ ভারতে ১০০ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৬৬২ জন আর পাকিস্তানে ৮৫ হাজার ২৬৪ জন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রথম ১০০ দিনে সারা বিশ্বে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে গড়ে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ৪ এপ্রিলে করোনা শনাক্ত হয় ৯ জনের। ৫ এপ্রিল এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে। দেখা যায়, আগের দিনের তুলনায় ২৬ শতাংশ হারে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেদিন থেকে প্রতিদিন ২০ শতাংশের ওপরে করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে গত ৬ এপ্রিল, ১ হাজার ছাড়ায় ১৪ এপ্রিল, ১০ হাজার ছাড়ায় ৩ মে, ২৫ হাজার ছাড়ায় ১৮ মে, ৫০ হাজার ছাড়ায় ১ জুন, ৭৫ হাজার ছাড়ায় ১১ জুন। ৭৫ হাজার অতিক্রমের ঠিক ৪ দিন পর ১৫ জুন শততম দিনে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৬১৯ জন। এক দিনে আরো ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০৯ জন।

আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা শনাক্তের প্রথম সপ্তাহে ৩ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ জন, তৃতীয় সপ্তাহে ২২ জন, চতুর্থ সপ্তাহে ২১ জন, পঞ্চম সপ্তাহে ৭৫ জন, ষষ্ঠ সপ্তাহে ৪৯৮ জন, সপ্তম সপ্তাহে ১ হাজার ৮৩৫ জন, অষ্টম সপ্তাহে ৩ হাজার ৪৫৭, নবম সপ্তাহে ৪ হাজার ২৩০, দশম সপ্তাহে ৫ হাজার ৫৪৮, ১১তম সপ্তাহে ৬ হাজার ৫৭৭, ১২তম সপ্তাহে ১১ হাজার ৩৪২, ১৩তম সপ্তাহে ১৩ হাজার ৫৪৩, ১৪তম সপ্তাহে ১৮ হাজার ৬১৬, ১৫তম সপ্তাহে ২১ হাজার ৭৫১ জন শনাক্ত হয়েছে।

মৃত্যুর হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মার্চে ৫ জন, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মেতে ৪৮২ জন এবং জুনে এখন পর্যন্ত ৫২১ জন মারা গেছে। আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, আক্রান্তের ৫০ শতাংশই ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সি ব্যক্তি এবং ৬৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের। আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে পুরুষের সংখ্যা ৭০ শতাংশের ওপরে।

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.