মোজাম্মেল চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩০ জনের মধ্যে ১০/১২ জনই নিজের লোকজন। মা,ভাইদের নামও রয়েছে তাতে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নগদ অর্থ সহায়তার তালিকা তৈরীতে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মেহারী ইউনিয়নের এক সদস্যের বিরুদ্ধে।
এই তালিকায় অনিয়ম তথা স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সম্প্রতি ওই ইউপি’র চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চেয়ারম্যান তার ছেলে,ভাই-বোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্বজনদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন তালিকায়। একই অপকর্মে জড়িত হওয়ার অভিযোগ মিললো এবার ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো: আবদুল হালিমের(৪৫) বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের সাথে অনিয়মের পাল্লা দিয়েছেন তিনি। তার দেয়া ৩০ জনের নামের তালিকার প্রায় অর্ধেকই পরিবারের সদস্য ও স্বজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, নগদ অর্থ সহায়তার ওই তালিকায় হালিম তার মা সাজেদা খাতুন,ভাই সালমান রহমান এবং আরেক ভাই মমিনুলের স্ত্রী আকলিমা আক্তারের নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন। তাদের নাম রয়েছে ওই তালিকার ১৩,২৭ ও ২৬ নাম্বারে। আপন চাচাতো ভাই মো: কামাল উদ্দিনের নাম রয়েছে ১৮ নম্বর ক্রমিকে। আরেক চাচাতো জাফরুল্লাহর নাম রয়েছে ২৯ নম্বরে। চাচাতো বোন খাদিজা খাতুনের নাম রয়েছে ১৫ নম্বর ক্রমিকে। এছাড়া হাসেনা নামে এক প্রবাসীর নামও রয়েছে ওই তালিকার ৩৯২ নম্বরে। অভিযোগ তালিকায় নাম রয়েছে এমন অনেকে আবার টাকাও পাননি।
তবে ইউপি সদস্য মো: আবদুল হালিম এই অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, তালিকায় তার মায়ের নাম থাকার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম নেই। তাছাড়া তিনি তার সৎ মা। দুই ভাইয়ের নাম থাকার বিষয়ে বলেন- তারা নি:শ্ব হওয়ায় গ্রামের মানুষজনই তাদের নাম দিয়েছে। এছাড়া তালিকায় নিজের লোকজনের নাম দেয়া যাবেনা এমন ইনষ্ট্রাকশন আমাদেরকে দেয়া হয়নি। তার ওয়ার্ড থেকে ৩০ জনের নাম দিয়েছেন তিনি। আর ১০ জনের নাম সাবেক এক ইউপি সদস্য দিয়েছেন বলে জানান। চেয়ারম্যান বরখাস্ত হওয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে এখন তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান ।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, ইউপি সদস্য আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
শেয়ার করুন