খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গোকর্ণঘাটে তিতাস নদী ও টাউন খালের ওপর নির্মিত দুই ব্রীজের সংযোগস্থল বেদখল। দোকানপাট আর বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের পার্কিংয়ে এক বিপদজ্জনক অবস্থারও সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। সেতুর গোড়াতে দিনভর লেগে থাকছে যানজট। দোকানপাটের কারনে এক ব্রীজ থেকে আরেক ব্রীজের যানবাহনের উঠানামাও দেখা যাচ্ছেনা। যা দূর্ঘটনার ঝুকি বাড়িয়েছে। এলাকার মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
জেলা সদরের সাথে নবীনগরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে তিতাস নদীর ওপর একটি দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে সম্প্রতি। এই সেতুর উত্তর পাশের এপ্রোচ আর পশ্চিম পাশে টাউন খালের ওপর নির্মিত ব্রীজের ঢালু একই জায়গায়,আমিনপুরে মিলেছে। সরজমিনে দেখা গেছে, দুই ব্রীজের গোড়ার ওই জায়গা রিকসা,সিএনজি,ইজিবাইক এবং মোটর সাইকেলের পার্কিংস্থল হয়ে উঠেছে। একারনে আমিনপুর গ্রামে ঢুকতে গিয়েও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। তাছাড়া দুটি ব্রীজের গোড়াতে অবৈধভাবে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। টাউন খালের ওপর নির্মিত ব্রীজের ওপরে এবং পশ্চিমপাশের মুখে ইজিবাঈক ও রিকসা পার্কিং করছে। এতে সদর ও নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার মানুষের যাতায়ত দূর্ভোগপূর্ন হয়ে উঠেছে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর আনিছুর রহমান জানান- তিতাস নদীতে সেতু নির্মিত হওয়ার পর নবীনগরের কুড়িঘর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে হাওরের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্নস্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। ফলে অনেক যানবাহনের চাপ রয়েছে। তাছাড়া সদরের সাদেকপুর হয়ে নবীনগর যাওয়ার রাস্তা দিয়েও শতশত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ব্রীজ দুটির গোড়ার এই অবস্থার কারনে যানবাহন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। আমিনপুর গ্রামের রুবেল জানান,তাদের গ্রামে প্রবেশের মুখেই রিকসা-সিএনজি পার্কিং করে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে এক আবেদনে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, যানবাহনের নির্বিঘœ চলাচলে সেতু দুটির ঢালুতে গোলচত্বর বা আলাদা লেন এবং যাত্রিছাউনি করার দাবী জানান গ্রামের মানুষ। এদিকে নতুন সেতুর উত্তর পাশের এপ্রোচের ব্লক এরইমধ্যে খুলে পড়ছে।