,
শিরোনাম:
১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রী, চার এমপিসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা নাসিরনগর সরকারি কলেজে ছাত্রদলের মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কাউন্সিল নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত অর্ধশত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বানিজ্য \ কাজ হচ্ছেনা পুলিশের সর্তক বিজ্ঞপ্তিতে \ জনমনে আতঙ্ক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন মাদক পাচারকারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা সহ ২ কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের নামে ইটালী প্রবাসীর প্রতারনা

BBaria Shahidul Pic

খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ইটালী প্রবাসীর বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। হুমকী দেয়া হয়েছে ডাকাত দিয়ে হত্যা করার। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতিত পরিবার।এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দুই মেয়েসহ নির্যাতনের শিকার শারমিন সুলতানা। এতে তিনি জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ২০১৮ সালের ৮ই জানুয়ারি নবীনগরের ওয়ারুক গ্রামের ইতালি প্রবাসী শহিদুল হোসেন নারুই গ্রামের শারমিনের বড় মেয়ে ছাবিকুন্নাহার নিলাকে বিয়ে করেন। নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে পাঁচলক্ষ টাকা দেন মোহরে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ১৫/২০ দিন স্বামী স্ত্রীর মতো জীবন যাপন করে নীলা ও শহিদুল।এরপর শহিদুল ইতালিতে চলে যায়। বিয়ের পর ছয় মাস পর্যন্ত স্ত্রী নিলার সাথে সে স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষা করে । এরপরই শহীদুলের মুখোশ খুলে পড়ে। সে বিয়েকে অস্বীকার করে। দেশে ফিরে শহিদুল আবার বিয়ে করতে গেলে নীলা তার বাড়িতে গিয়ে অনশন করে। পরে এ ঘটনায় নীলা বাদী হয়ে শহিদুল গংদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। এই মামলায় শহিদুল ১৫দিন জেলও খাটে। পরে শহিদুলের লোকজন নানা কলা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মামলাটি খারিজ করে নেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নীলার মা। এখন উল্টো নীলার পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। তাছাড়া নীলার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়িয়ে তাকে হেয় করা হচ্ছে। শারমিন সুলতানা বলেন,শহিদুলের ছোট ভাই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে তার দুই মেয়ে ও তাকেসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তাছাড়া স্থানীয় আলী আজম ডাকাতকে দিয়ে তাদেরকে হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে মাহমুদ। নীলার বিষয়টি মীমাংসার নামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নীলার পরিবারকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছর শিবপুর পুলিশ ফাড়িতে এনিয়ে এক সালিশ সভা হয়। সেখানে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি অলি মাষ্টার,শহিদুলের চাচা সম্পর্কীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. জামাল উদ্দিন,শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক ও পুলিশ ফাড়ির এসআই এহসানসহ অন্যান্য সর্দাররা ১ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চালান। এনিয়ে আরেক দফা সালিশ হয়। ওই সালিশে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনার রফাদফা করেন জেলা যুবলীগের এক নেতা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই টাকা পাননি শারমীন। মেয়ের সঙ্গে হওয়া এই ঘটনার বিচার পেতে শারমীন স্থানীয় সংসদ সদস্যেরও দ্বারস্থ হন। শহিদুল,তার ভাই মাহমুদুল হকসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নীলার মা শারমীন। তিনি তাদের বিচার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাজিম উদ্দিন আহমেদ,নাজমুল ইসলাম ও মো: ওবায়দুল্লাহ।

 

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.