খবর সারাদিন রিপোর্ট :; সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেও আজ রবিবার থেকে মহামারি করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা ও সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের মেড্ডাস্থ জেলা ই.পি.আই ভবন থেকে টিকাগুলো বিতরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে কোল্ড বাক্সে করে টিকাগুলো তুলে দেন সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ।
প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলার জন্য ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাঠানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার জন্য করোনার টিকার এক হাজার ভায়াল, নবীনগরে ৯৪০ ভায়াল, কসবায় ৬০০ ভায়াল, বাঞ্ছারামপুরে ৫৭০ ভায়াল, নাসিরনগরে ৫৯০ ভায়াল, আশুগঞ্জে ৩৪০ ভায়াল, বিজয়নগরে ৪৯০ ভায়াল, আখাউড়ায় ২৮০ ভায়াল এবং সরাইলে ৬০০ ভায়াল দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা রয়েছে। এছাড়া টিকাদানের জন্য এক লাখ ৫৬ হাজার সিরিঞ্জও দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
টিকা ও সিরিঞ্জ বিতরণের সময় সিভিল সার্জনের সাথে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফরের সহকারী পরিচালক আহসানুল্লাহ শেখ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেক মুহিদ ও সিভিল সার্জ কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, টিকাগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো কোল্ড স্টোর রুমে রাখা হবে। রবিবার থেকে সব উপজেলায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ধাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে সকল জনগোষ্ঠি টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১০ হাজার ৮০০ ভায়ালে করে এক লাখ আট হাজার ডোজ করোনার টিকা আসে। টিকাগুলো জেলা ই.পি.আই ভবনের কোল্ড স্টোর রুমে সংরক্ষণ করা হয়।