খবর সারাদিন রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া মধ্যপাড়া থেকে কিশোরী শিক্ষার্থী অপহরণ ঘটনার মূলহোতা জসীম উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে র্যাবের সদস্যরা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। সোমবার রাতে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে বখাটে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। সে সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, প্রবাস ফেরত জসিম দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে স্কুলে ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার দুপুরে স্কুল শেষে বাসায় যাওয়ার পথে জসিম ও তার সহযোগী ইরফান এবং আশিক ওই ছাত্রীকে টানাহ্যাঁচড়া করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যমে প্রকাশ ও এলাকায় জানাজানি হওয়ায় জসিম ছাত্রীকে রাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে রাজধানীর বাড্ডায় তার এক স্বজনের বাসায় আত্মগোপন করে। অপহরণে ব্যবহূত প্রাইভেটকারটি জসিম তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পরিদর্শক (অপারেশন) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, অপহরণে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিজ্ঞ আদালত বরাবর গ্রেপ্তার আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, অপহরণ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এখন পর্যন্ত ঘটনার মূলহোতা জসীম উদ্দিন ও তার ভাই কাউসার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।