মাজহারুল আহমেদ চৌধরী(মন্জু), ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি মুরগীর খামারে বায়োগ্যাসের ট্যাংক বিষ্ফোরনে মোঃ জুবায়ের মিয়া- (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে বায়োগ্যাসের ট্যাংক বিষ্ফোরনে জুবায়ের আহত হয়। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতের বেলায় সে মারা যায়। নিহত জুবায়ের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জুবায়ের মিয়া দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে থেকে দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য বিল্লাল ভ‚ইয়ার মালিকাধীন মুরগীর খামারে কাজ করতো। সেই খামারে মুরগীর বিষ্টা দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরী করা হতো।
শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে বায়োগ্যাসের ট্যাংকি বিষ্ফোরিত হয়। বিষ্ফোরনের বিকট শব্দে আশপাশের বাড়ি-ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় জুবায়ের আহত হয়ে খামারের ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে।
স্থানীয়রা তাকে দ্রæত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবায়ের মিয়া মারা যায়। পরে জুবায়ের মিয়ার আত্মীয় স্বজন ময়নাতদন্ত না করেই তার লাশ রাতের বেলায় তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পরই খামার মালিক বিল্লাল ভ‚ইয়া গা ঢাকা দেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, বায়োগ্যাসের ট্যাংকি বিষ্ফোরিত হয়ে জুবায়ের মিয়া মারা গেছেন। আমরা খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার লাশ আত্মীয় স্বজন তাড়াইলের ধলা গ্রামে নিয়ে গেছেন। পরে তাড়াইল থানার মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এ ঘটনায় মামলা দিতে বলি। রোববার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় তারা থানায় কোন মামলা দায়ের করেননি। খামার মালিক বিল্লাল ভ‚ইয়াকেও খুঁজে পাচ্ছিনা। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ আছে।