খবর সারাদিন রির্পোটঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী-(৬৭) ও তার স্ত্রী উষা বেগম-(৬২) কে মারধোর এবং তাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ভাতিজা রোহান চৌধুরী বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একটি দ্রুত বিচার আইনে ও অপরটি ডাকাতি মামলা। দুটি মামলাতেই ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলার প্রধান আসামী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন, তার ভাই সাব্বির সহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যরা হলেন রাধানগর গ্রামের রবিন-(২৩), একই গ্রামের তিতন-(২৯), রিয়াজ-(২৮), মসজিদ পাড়ার রিয়াজ-(২৮) ও মালদারপাড়ার আশুরাফুল-(২২)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বুধবার বিকেল চারটার দিকে সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর সামনে একটি চেয়ারে বসা ছিলেন। সে সময় একটি ছেলে সেখানে গিয়ে মোহাম্মদ আলীর সাথে তর্কে জড়ান। এর মধ্যে পৌর শহরের নারায়নপুরের বাসিন্দা ও পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া ওরফে সুজন ও তার ভাই দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে মোহাম্মদ আলীকে পাঞ্জাবির কালারে ধরে সড়ক বাজারের সড়কের মাঝখানে নিয়ে যান। পরে কাউন্সিলর, তার ভাই ও তাদের লোকজন মোহাম্মদ আলীকে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কাউন্সিলর ও তার লোকজনকে ফিরিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা আহত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এর আগে কাউন্সিলর ও তার দলবল মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী উষা বেগমকে মারধোর করে ও তাদের বাড়িতে হামলা করে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর স্ত্রী উষা বেগম বলেন, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোক তাদের বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাংচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে উষা বেগমের পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তারা।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। পরে কথা বলব।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, আমি ঢাকায় আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। কেন এমন হয়েছে আমি জানি না।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ভাতিজা রোহান চৌধুরী বাদি হয়ে বুধবার রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। দুটি মামলাতেই পৌর কাউন্সিলরসহ ১৮জনের নাম উল্লেখও অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনকে আসামী করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই পৌর কাউন্সিলর, তার ভাই সাব্বিরসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি বলেন, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।