স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগের কমিটিতে বিতর্কিত নেতাদের বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তথ্য দিতে গিয়ে পদবঞ্চিত নেতারা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। অনশনরতদের বোঝাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী একপর্যায়ে জানান তিনি পদত্যাগ করবেন।
শনিবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনায় নারীনেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও তার অনুসারীরা এই হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার বিচার দাবি এবং কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে রাত ৩টা থেকে পদবঞ্চিতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সেখানে অনশন চলছিল। ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে পদবঞ্চিতদের অনশন ভঙ্গ করার অনুরোধ করেন শোভন ও রাব্বানী। তাদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তাদের বোঝাতে এসে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী একপর্যায়ে জানান তিনি পদত্যাগ করবেন। তবে পদবঞ্চিতরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। তিনি হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হামলাকারীদের বিচার করা হবে।
পদবঞ্চিত নেতারা গণমাধ্যমকে জানান,রাত ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ভেতরে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে কথা বলতে যান তাদের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে শোভন-রাব্বানীর সমর্থকরাও অবস্থান করছিলেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-সম্পাদক লিপি আক্তারকে আপত্তিকর কথা বললে তিনি প্রতিবাদ জানান। এর জের ধরে সেখানে উপস্থিত রাব্বানীর অনুসারীরা লিপিসহ পদবঞ্চিত কয়েকজনকে মারধর করেন।
পদবঞ্চিতদের দাবির মধ্যে রয়েছে- কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিতে হবে, নারীনেত্রী ও অন্যদের উপর হামলাকারীদের বহিষ্কার করতে হবে এবং লিপি আক্তারকে মারধরের ঘটনায় গোলাম রাব্বানীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
গত ১৩ মে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের নেতারা নানাভাবে অসন্তোষ ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলতে গিয়ে পদ পাওয়া নেতাদের মারধরের শিকার হয়েছেন পদ না পাওয়ারা। এতে নারীকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।