বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার এলাকার ঝোঁপ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে কে বা কারা ওই স্থানে নবজাতকটি ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। শজিমেক কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় প্রাণে বেঁচে যায় নবজাতকটি।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ক্যাম্পাস এলাকার পাশেই বেগম রোকেয়া নামের একটি ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। এছাড়া কলেজের আশপাশেও একাধিক ছাত্রীবাস রয়েছে।
জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম রেজা ও এবিএম আবদুল্লাহ কলেজ ক্যাম্পাসে হাঁটতে বের হন। এসময় তারা ক্যাম্পাসের পাশেই থাকা শহীদ মিনার এলাকার একটি ঝোঁপ থেকে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। পরে তারা ঝোঁপের কাছে গিয়ে সদ্যজাত কন্যা নবজাতকটিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন করেন।
খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জমানসহ পাশের স্টেডিয়াম ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
২২ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের ছিলিমপুর টাউন ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ মণ্ডল এভরিনিউজকে জানান, নবজাতকটি উদ্ধারের পরপরই হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। ওই বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকে উদ্ধার করা নবজাতকটি। নবজাতকটির ঠোঁট ও তালু কাটা।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক দম্পত্তি হাসপাতালে এসে ওই নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন। তবে তিনি তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মুস্তাফিজ হাসান এভরিনিউজকে জানান, নবজাতকের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। কোথা থেকে কিভাবে ওই ঝোঁপের ভেতর নবজাতক এলো, এসব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চালছে। তবে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই নবজাতকের পরিচয় পায়নি তারা।
তিনি আরও জানান, নবজাতকের পরিচয় জানতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ছাড়াও আবাসিক এলাকা ও ছাত্রী হোস্টেলগুলোতে নানাভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ-খবর চালানো হচ্ছে।