,
শিরোনাম:
ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ যায়যায়দিনের নবীনগর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফার ইন্তেকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিয়ানশি ডিস্ট্রিবিউটরদের নামে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ৩৫৪ বোতল বিদেশী মদসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ জন গ্রেপ্তার কসবায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে / ২৫ জন আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গঙ্গাস্নানে উপচেপড়া ভীড় টিকটক করতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে এতিম ও ছিন্নমূল পথশিশু পেল পছন্দের পোশাক ডেভিল হান্টের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার কালের সাক্ষী আখাউড়ার খড়মপুরের ১১’শ বছরের পুরোনো মসজিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়রের কবল থেকে জায়গা উদ্ধারের দাবি

WhatsApp Image 2024 12 05 at 17.12.10 ce964269 jpg

খবর সারাদিন রিপোর্টঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর দখল থেকে নিজের সম্পত্তি ফিওে পেতে ও তাদের অত্যাচার থেকে পরিবার-পরিজনসহ রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কসবা পৌর এলাকার খাড়পাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া জানান, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীরের ভূমি দখলসহ নানা অত্যাচারে তিনি ও তার পরিবার এক ধরণের মানসিক পীড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের অত্যাচারের নিষ্পোষিত হয়ে বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার এলাকাছাড়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর আইন-শৃংখলা বাহিনীর নমনীয়তার সুযোগে গত ৭ আগস্ট থেকে মোঃ ইলিয়াছ ও তার ভাই জাহাঙ্গীর তার জায়গা জবর দখল শুরু করে।
তিনি বলেন, কসবা পৌর শহরের খাড়পাড়ার ওই জায়গাটি তার স্বামী মোঃ সামছুল আলম পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। ২০১৮ সালে মোঃ সামছুল আলম মৃত্যুবরণ করলে তিনি ১ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন।
গত ৭ আগস্ট জায়গা দখল শুরু হলে তিনি সেখানে গেলে ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীরের বাহিনী আমার উপর চড়াও হয় এমনকি হত্যার হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি বলেন, আমার দাদা শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলমের দুইজন স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে সাথে নিয়ে কর্মস্থল পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান ও পরে তারা করাচীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই রওশন আরার পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে নাছরিন আলম, ছেলে মনজুরুল আলম, মাসুদ আলম ও মহসনি আলম জন্মসূত্রেই পাকিস্তানে বসবাস করতে থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলম মৃত্যুর আগেই সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্টন করে দেন। এরই আলোকে দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরাসহ তার সন্তানদের পাকিস্তানে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ সকল সম্পত্তি দিয়ে দেন ও পান। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী ও তার তিন সন্তান মনিরুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম ও মোর্শেদ আলমকে বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। এরই সূত্র ধরে আমার শশুর আনোয়ারুল ইসলামের হিস্যা হিসেবে আমার স্বামী সামশুল আলম কাউছার কিছু সম্পত্তি পান। আমার শশুরের স্ত্রী অর্থাৎ শাশুরি, পাঁচ মেয়েও অনুরূপভাবে সম্পত্তি পেয়েছেন। এরই সূত্র ধরে ২০১৪ মালের একটি দলিল মূলে আমি ও আমার সন্তানেরা ৩.৮০ একর জমির মালিক হই। কিন্তু পাকিস্তানের নাগরিক প্রয়াত মনজুরুল আলমের ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিছু সম্পত্তির “পাওয়ার” নিয়ে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে নেন জাহাঙ্গীর।
তিনি জানান, মনজুরুল আলম বাংলাদেশি নাগরিক নয়, মর্মে আদালত সন্দেহ পোষণ করে। তার নাগরিকত্ব প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত মামলাটি স্থগিত রাখে। তবে স¤প্রতি জায়গা নিয়ে আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করেন আদালত।
সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আরো বলেন, ওই সময়ে পৌর মেয়রের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইলিয়াছ এক প্রত্যায়নপত্রে মনজুরুল আলমসহ তাদের পরিবার যে বাংলাদেশে থাকেন না সেটি নিশ্চিত করেন। পরে অবশ্য মনজুরুল আলম বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বানায়।
সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত মোঃ হারুন মিয়া নামে কসবার এক ব্যক্তি জানান, সাঈদা সুলতানার কাছ থেকে তিনি কিছু জায়গা কিনেছিলেন। ওই জায়গাটাও ইলিয়াছ ও তার ভাই দখল কওে নিয়েছে। তিনি জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা নাকি জায়গার মালিক।
এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সাঈদা সুলতানার ৫ ননদ, শ্বাশুড়ির কাছ থেকে ১৫ বছর আগে জায়গা কিনেছেন ও জায়গাটি ভোগ দখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে মোঃ জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিএসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে জায়গা নিয়েছি তাদের বাড়ি আছে কুমিল্লায়। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। সাঈদা সুলতানা যেসব অভিযোগ করেছেন সবই মিথ্যা। ওনি এ নিয়ে মামলা করলেও আদালতের রায় আমার পক্ষে গেছে।

 

শেয়ার করুন

Sorry, no post hare.