খবর সারাদিন রিপোর্ট : ঈশ্বরদীতে সাকিব হোসেন (২১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আপন মামীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় খুন হয় সাকিব। বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। সোমবার ঈশ্বরদী থানা পুলিশ চাঞ্চল্যকর সাকিব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং ২ আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে হাজির করেছে।
চকনারিচা বাগবাড়িয়া গ্রামের মিলনের স্ত্রী বিলকিস আকতার বানু (৩৮) ও ছেলে বিপ্লব হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৫ মে রাত সাড়ে ১২টায় ঈশ্বরদীর চকনারিচা বাগবাড়িয়া গ্রামের আলমগীরের ছেলে সাকিব হোসেন সিগারেট কিনতে বাইরে যাওয়ার অজুহাতে মামা মিলনের বাড়িতে যায়। মামা বাড়িতে না থাকার সুযোগে সাকিব মামি বিলকিস আকতারকে ডাক দেন। এ সময় বিলকিস দরোজা খোলা মাত্রই সাকিব ভেতরে ঢুকে তাকে জাপটে ধরে কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় দুজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিলকিস তার ছেলে বিপ্লবকে ডাক দেন। মায়ের বিপদ বুঝতে পেরে বিপ্লব আরও ৪/৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের ঘরে যেয়ে সাকিবকে ধরে ফেলে।
পরে সকলে মিলে বালিশ চাপা দিয়ে সাকিবকে হত্যা করে জনৈক সাখাওয়াতের বাড়ির পাশের বাগানে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওইদিনই সন্দেহজনকভাবে উল্লেখিত দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলায় এস আই অসিত কুমার বসাককে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়।
এসআই অসিত জানান, সোমবার গভীর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ও ওসির নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অরনকোলা এলাকার চকনারিচা বাগবাড়ীয়া গ্রামের মিলন আলীর স্ত্রী বিলকিছ আক্তার বানু (৩৮) ও তার ছেলে বিল্পব হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে হত্যা ঘটনার বর্ণনা থেকে সাকিব প্রায়ই বিলকিসকে কুপ্রস্তাব দিত বলে জানা গেছে। ওসি জানান, ঘটনার পর পুলিশের একটি দল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে। ৭২ ঘণ্টা পার না হতেই মূল আসামি মা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।