ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিনের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে বেধরক মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকের নাম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হন।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তিনি। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই কর্মীকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মাহমুদ তার মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিন ও তার সমর্থকেরা ঐ সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় বশির ঐ সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার অনুসারীরা রড চাপাতি দিয়ে তাকে উপর্যপুরি আক্রমণ করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল আলম বলেন, মাহমুদের উপর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিষয়টি জানার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এমন ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।
এদিকে জেলার বিজয়নগরে শহিদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোঃ বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দুই কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় মহসিন ও শাহআলম গ্রুপের লোকজন এক সাথে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।