স্টাফ রিপোর্টার : এখন থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো গ্রাহকদের ৫ টাকার বেশি ধার বা লোন দিতে পারবে না। বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এ বি এম হুমায়ুন কবির এ কথা জানান।
বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানি হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। গণশুনানিতে গ্রাহকরা মোবাইল সেবা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, অপারেটরেরা ২০০ টাকা পর্যন্ত ধার দিচ্ছে। ধার দেওয়ার পর অল্প করে যতবার টাকা রিচার্জ করা হচ্ছে ততবার টাকা কেটে নেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাধারণত মানুষ জরুরি প্রয়োজনে ধার নেয়। তাই এর পরিমাণ ৫ থেকে ১০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
এর জবাবে এ বি এম হুমায়ুন কবির বলেন, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৫ টাকার বেশি ধার না দিতে বলা হয়েছে।
রাজকুমার সাহা নামা এক গ্রাহক জানতে চান, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও ন্যূনতম মেয়াদ ৮ দিন করা যায় কিনা? বিটিআরসির এই কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো নিয়ে পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যবেক্ষণ শেষে মূল্য ও সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের সেবার মান নিয়ে এক গ্রাহকের প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেন, টেলিটক সরকারি প্রতিষ্ঠান। সৌদি টেলিকম আসছে, টেলিটক যাতে আরো উন্নতর হয়।
বিটিআরসির হুমায়ুন কবির জানান, শুনানিতে প্রায় ২২টি প্রশ্ন এসেছে। এ ছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে ৩০-৩৫টি প্রশ্ন আসে। এসব অভিযোগের সমাধানের তথ্য আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।